নিজস্ব প্রতিবেদক:
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের আদমজী ইপিজেডের একটি পোশাক কারখানার শ্রমিকরা বকেয়া বেতন পরিশোধের দাবিতে সড়ক অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছে। এসময় পুলিশ শ্রমিকদেরকে সড়ক থেকে সরানো চেষ্ঠা করলে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে পুলিশ শ্রমিক সহ আহত হয়েছে অর্ধশত । সোমবার সকাল ৭টার সময় আদমজী ইপিজেড এর সোয়াদ ফ্যাশনের শ্রমিকরা ইপিজেডের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেয় পরে তারা নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা সড়ক অবরোধ করে।
এসময় পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়। পরবর্তিতে আবার সকাল ৮টার দিকে শ্রমিকরা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ মিছিল করতে থাকে। সেখান থেকে সকাল ৯টায় তাদের সরিয়ে দিতে চাইলে পুলিশের সঙ্গে তাদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। এতে শ্রমিকরা ১০/১৫টি গাড়ি ভাংচুর করে এবং একটি কাভার্ড ভ্যানে (চট্টমেট্রো ট ১১০১৬৬) আগুন ধরিয়ে দেয়।
প্রায় ঘন্টা ব্যাপি পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। পুলিশ টিয়ার গ্যাস নিক্ষেপ করে ও শ্রমিকদের উপর লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়। সংঘর্ষে তিন পুলিশ সদস্যসহ আহত হন অর্ধশত শ্রমিক। এসময় কয়েকজন শ্রমিককে আটক করে পুলিশ। আহত শ্রমিকদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
শ্রমিকদের অভিযোগ, সোয়াদ ফ্যাশনে তিন হাজার শ্রমিক কাজ করছে। ৬ মাস ধরে বেতন পরিশোধ করছে না কারাখানা কর্তৃপক্ষ। এর প্রেক্ষিতে গত ২২ সেপ্টেম্বর বকেয়া বেতন পরিশোধ না করায় এবং শ্রমিকদের না জানিয়ে কারখানা বন্ধের নোটিশ দেওয়ায় বিক্ষুদ্ধ হয় শ্রমিকরা। এ কারনে আজ সকালে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে তারা। এ অবস্থায় শ্রমিকরা বাসা ভাড়া সহ সংসার চালানো নিয়ে শঙ্কায় রয়েছে।
এদিকে বিক্ষুব্ধ পোশাক শ্রমিকরা সকাল থেকে ইপিজেড গেট সংলগ্ন ডেমরা-নারায়ণগঞ্জ সড়ক অবরোধ করে রাখায় দীর্ঘক্ষণ সড়ক বন্ধ থাকায় সড়কের দুই দিকেই দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ভোগান্তি পড়ে হাজারো মানুষ। দুপুর ১২ টার দিকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে যান চলাচল সাভাবিক হয়।
নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশের এসপি জাহিদুর রহমান জানান, শ্রমিকদের পাওনা মালিকপক্ষ থেকে আদায় করার জন্য আমরা সর্বোচ্চ চেষ্ঠা করছি। অপরদিকে সকাল থেকে শ্রমিকদের বুঝিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য চেষ্ঠা করেছি।